আমি একজন নৌবাহিনী অফিসার। আমার স্ত্রী ২০১৪ সালে হজকিন্স লিম্ফোমা তে আক্রান্ত হয়। তার stage ছিল ৪, মানে শেষ stage. এটা এক ধরনের রক্ত সংক্রান্ত কান্সার। তখন ঢাকা সিএমএইচ এর হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হক মাহফুজ স্যার। আমাদের অনেক শুভানুধ্যায়ি চিকিৎসার জন্য বিদেশে চলে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিলেও আমরা স্যারের উপর ভরসা রাখি। স্যার অনেক ধরনের পরিক্ষা নীরিক্ষা করে সঠিক প্রোটকল নির্বাচন করেন, যা কান্সার চিকিৎসার জন্য খুব ই গুরুত্তপূর্ণ। স্যারের চিকিৎসা তে ৬ সাইকেল কেমোথেরাপিতে আমার স্ত্রী মাত্র ছয় মাসের মাথায় সম্পুর্ন সুস্থ হয়ে উঠে। প্রতিবার কেমোথেরাপির সময় বিভিন্ন ধরনের জটিলতায় স্যার কে সব সময় আমাদের সাথে পেয়েছি। রাত ২ টার সময় ও আমাদের কল পেয়ে স্যার ছুটে এসেছেন। চিকিৎসা চলাকালে আমি মিশনে চলে গেলেও সেখান থেকে স্যারের সাথে কানেক্টেড ছিলাম প্রতিনিয়ত। মিশন এলাকার ভারতীয় চিকিৎসকরা স্যারের চিকিৎসার ভুয়সী প্রসংশা করেছে। আমাদের চিকিৎসার সম্পুর্ন সময় স্যারের আন্তরিকতা সম্পন্ন ব্যবহার রোগির কনফিডেনস বৃদ্ধি তে অনেক সহায়ক ছিল। চিকিৎসার পর পরবর্তী ৪ বছর নিয়মিত ফলোআপে রক্ত পরিক্ষা করে দেখতে হত যে কান্সার আবার ফিরে এসেছে নাকি। এসব সময় স্যার আমাদের স্নেহের সাথে অনেক সাহস ও পরামর্শ দিতেন। এখন আর আমাদের কোন রক্ত পরিক্ষা করতে হয় না। আল্লাহর রহমতে সুস্থতার পর আমাদের দুটি সুস্থ সন্তান হয়েছে। আমার স্ত্রী সম্পুর্ন সুস্থ জীবনযাপন করছে।আমি স্যারের সফলতা কামনা করি এবং স্যার কে রেকমেন্ড করি।